২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যে সকল শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য আবেদন করবে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিচের পোস্টটি গুরুত্বসহকারে পড়লে যাবতীয় তথ্য পাবেন। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী একটিমাত্র আবেদনের মাধ্যমে তার মেধা ও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে পড়ালেখার সুযোগ পাবে। তবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার বিভাগ, যেমন বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট একটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ব্যবস্থাই তিনটি ইউনিট রয়েছে।
নিচে আমাদের দেওয়া পোস্টটি থেকে আপনারা ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, ভর্তি প্রক্রিয়া, ভর্তি পরবর্তী করণীয়, চূড়ান্ত আবেদন, পরীক্ষার তারিখ, পরীক্ষার মানবন্টন, আসনবিন্যাস ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পাবেন। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিচের পোস্টটি পড়ুন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ ২০১১ খ্রিস্টাব্দে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ডঃ মোঃ ছাদেকুল আরেফিন। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বরিশাল বিভাগে অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ববি নামে পরিচিত। পড়ালেখার পাশাপাশি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের দুই প্রকারে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। একটি হল প্রাথমিক আবেদন এবং অন্যটি চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদনের সবাই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু চূড়ান্ত আবেদনে যারা প্রাথমিক আবেদনের নির্বাচিত হবেন তারাই আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে এপ্রিল মাসের ১ তারিখে এবং প্রাথমিক আবেদন শেষ হবে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে। প্রাথমিক আবেদনের পর একজন শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হবে এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে।
নিচে প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতা, প্রাথমিক আবেদনের নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-
প্রাথমিক আবেদনের জন্য তিনটি ইউনিট রয়েছে। ইউনিট তিনটি হলো এ ইউনিট, বি ইউনিট এবং সি ইউনিট। এ ইউনিটে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। বি ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে এবং সি ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
এ ইউনিটে আবেদনের জন্য মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি তে চতুর্থ বিষয় সহ ৩.৫০ জিপিএ পেতে হবে। অর্থাৎ এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ ৭.০০ পেলে একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
বি ইউনিটে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ ন্যূনতম ৩.৫০ পেতে হবে। অর্থাৎ এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৭.৫০ পেলে শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
সি ইউনিটে আবেদন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ৩.৫০ পাওয়ার পাশাপাশি এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে সর্বমোট ৮.০০ জিপিএ পেতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, এ লেভেল এবং অন্যান্য স্কুল কলেজ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।
প্রাথমিক আবেদনের সময় এডমিশন টেস্টের ওয়েবসাইটে যাবতীয় তথ্যাবলী আপনারা পাবেন। সে তথ্য অনুসারে একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। প্রাথমিক আবেদনের পরে এইচএসসি থেকে ৬০ শতাংশ এবং এসএসসি থেকে ৪০ শতাংশ জিপিএ নিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। যে শিক্ষার্থীদের যত ভালো সে সকল শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
সে সকল শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ থেকে এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
তবে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষার্থী আবেদন না করে তাহলে পরবর্তী মেধাক্রমঃ থেকে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় আবেদন ফরমে যে সকল তথ্যাবলী চাওয়া হবে সে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণের পাশাপাশি ৫০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
কারণ চূড়ান্ত আবেদনের পরে একজন শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আসন বিন্যাস সম্পর্কে জানতে হলে চূড়ান্ত আবেদনের সময় আপনারা জানতে পারবেন। চূড়ান্ত আবেদনের সময় আপনাদের পছন্দমত পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র তালিকায় রাখবেন তার মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে বেশ কয়েকটি নির্ণায়ক এর মাধ্যমে তার পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করবে।
জিএসটি চূড়ান্ত আবেদনের পর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে যে তারিখে সকল ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা ৩০ পর্যন্ত। এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ তারিখে। বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ তারিখে এবং সি ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হবে জুলাই মাসের ৩ তারিখে। সকল ইউনিটের পরীক্ষার নম্বর বন্টন এর ১০০।
চূড়ান্ত আবেদনের পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীরা জুন মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে প্রবেশ পত্র গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবে।
চূড়ান্ত আবেদনের পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সময় ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার মানবন্টন। এ ইউনিটে বাংলা-ইংরেজি আইসিটি মিলিয়ে ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বি ইউনিটে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা-ইংরেজি, আইসিটির মিলিয়ে ১০০ মার্কের পরীক্ষা হবে।
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মেধা জিপিএ এবং চুড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট একটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ করতে হবে এবং দরখাস্ত প্রদানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তার সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।