কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যে সকল শিক্ষার্থীদের সম্মান প্রথমবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করবেন তাদের জন্য জিএসটি একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আপনারা সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পড়ে অনেকে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিচের পোস্টটি পড়ে বিস্তারিত ধারনা পাবেন।
এখানে প্রাথমিক আবেদন, চূড়ান্ত আবেদন প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতা, প্রাথমিক আবেদনের একজন শিক্ষার্থীকে কিভাবে নেয়া হবে, আসন বিন্যাস, পরীক্ষার মানবন্টন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আপনারা পাবেন। তাই নিচে গিয়ে আমাদের পোস্টটি ভালো মতো পড়েন। তাহলে বুঝতে পারবেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৬ সালে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন ডক্টর অধ্যাপক এমরান কবীর চৌধুরী। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লা শহরের অদূরে অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়।
তাই বাংলাদেশের সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা হবে। তার বিস্তারিত তথ্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটেই পাবেন।
জিএসটি এর ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবছর ১৫০০০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করবে। একটি প্রাথমিক আবেদন। অন্যটি হলো চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ২০১৬,২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আর ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণ হতে হবে।
সকল ধরনের ইউনিট না দিয়ে এ, বি এবং সি নামক তিনটি ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। এ ইউনিট মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য, বি ইউনিট বাণিজ্য বিভাগের জন্য, সি ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য।
আবেদনের যোগ্যতাঃ-
এ ইউনিটে আবেদন করতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে সর্বমোট জিপিএ ৭.০০ পেতে হবে। আর এসএসসি এবং এইচএসসিতে আলাদা আলাদা হবে চতুর্থ বিষয় সহ ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএ পেতে হবে। বি ইউনিটে আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে ৭.৫০ পেতে হবে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
আর এসএসসি এবং এইচএসসিতে আলাদা আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয় সহ ন্যূনতম ৭.৫০ জিপিএ পেতে হবে।
সি ইউনিটে আবেদনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৮.০০ পেতে হবে। আর এসএসসি এবং এইচএসসি তে আলাদাভাবে চতুর্থ বিষয় সহ ৩.৫০ জিপিএ পেতে হবে। প্রাথমিক আবেদনের পর প্রত্যেক ইউনিটের শিক্ষার্থীদেরকে কিছু নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়ার মাধ্যমে মেধাক্রম তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পদার্থ এবং রসায়ন বিষয়ের উপর ক্রাইটেরিয়া আরোপন করে নির্ণয় করা হবে। প্রত্যেকের শিক্ষার্থীদের জন্য এইচএসসি থেকে ৬০% এবং এসএসসি থেকে ৪০% নাম্বার নিয়ে এই ক্রাইটেরিয়া গুলো নির্ণয়ের মাধ্যমে মেধাক্রমে একজন শিক্ষার্থীকে স্থান দেওয়া হবে।
বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা এবং ইংলিশ এর উপরে,আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্রাইটেরিয়া নির্ণয় করা হবে। বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের উপরে প্রাথমিকভাবে সকল শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে। তাদেরকে বিভিন্ন ইউনিটে আবেদন করতে হবে। প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে। চূড়ান্ত আবেদনের পরে শিক্ষার্থীরা জুনের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে।
চূড়ান্ত আবেদন শেষ হলে ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষাগুলো আলাদা আলাদা দিনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক ইউনিটের পরীক্ষা দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা ৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ১৯ তারিখে। বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ২৬ তারিখে। আর সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুলাই মাসের ৩ তারিখে।
আসন সংক্রান্ত তথ্যঃ-
যারা চূড়ান্ত আবেদন করবে তাদের আবেদনের সময় নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করতে হবে। সে বিষয়ে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ধারণা পরবর্তীতে পাবেন। আর আসন এর ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনের সময় ৩১ টি আসনের লিস্ট দেওয়া হবে। তার মধ্যে শিক্ষার্থীর সুবিধামতো পাঁচটি আসন দিতে পারবে।
সেই আবেদন অনুসারে জিএসটি অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারটি নির্নায়কের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট আসন প্রদান করবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী এই আসনটি পরিবর্তন করতে পারবেনা।
শিক্ষার্থীর স্কুল বা কলেজ হতে তার আসন এর দূরত্ব, শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি ফলাফল, শিক্ষার্থীকে ছেলে না মেয়ে এবং শিক্ষার্থীদের বছরের উপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীকে আসন প্রদান করা হবে।
পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের মানবন্টন বিষয়ক তথ্যঃ-
মানবিক বিভাগের জন্য বাংলা ৪০, ইংরেজি ৩৫ এবং আইসিটি ৩৫ মিলিয়ে সর্বমোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।
বি ইউনিট অর্থ্যাত বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান ২৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২৫, বাংলা ১৩, ইংরেজি ১২ এবং আইসিটি প্রশ্ন সর্বমোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।
সি ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিদ্যা ২০ রসায়ন২০, বাংলা ইংরেজি ১০ মিলিয়ে ৬০ মার্কস এবং অধিক বিষয় গণিত, জীববিদ্যা এবং আইসিটি মিলিয়ে ৪০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কেউ ১০০ মার্কের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপনারা আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা পাবেন।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ফলাফলের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে যে সকল শিক্ষার্থী ফলাফল সবচেয়ে ভালো তাদের অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হবে। সাক্ষাতকারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে তার নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শর্ত প্রদান পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারবে।