২০২৩ শিক্ষাবর্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ আকারে যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তার একটি নোটিশ প্রকাশ করেছে জি এস টি(GST)। আপনারা যারা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করবেন, তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই জরুরি। তাই আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে নোটিশ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী এবং ভর্তি প্রক্রিয়াগুলো নিচে গিয়ে পড়ুন।
মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে এবছর গুচ্ছ আকারে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেরিতে প্রকাশিত হওয়ার কারণে ভর্তি পরীক্ষাগুলো অনেক দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাছাড়া একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মহামারীর সময় পরীক্ষা দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়।
তাই মেধাক্রমের মাধ্যমে এবং চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার যোগ্যতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সুযোগ পাবে। সেই উদ্দেশ্যে একজন শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন এবং তাদেরকে কোন কোন বিষয়ের উপর পরীক্ষা দিতে হবে, এগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত লেখা আছে। তাছাড়াও কোন পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে, প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত আকারে দেয়া আছে।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়। কিন্তু এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে চালু হয় ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে। বর্তমানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ডঃ বিধান চন্দ্র হালদার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি উত্তরবঙ্গের একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংক্ষেপে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় “হাবিপ্রবি”।
লক্ষ্য করুনঃ-
*প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে এপ্রিলের ১ তারিখ এবং শেষ হবে ১৫ তারিখে।
*প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশিত হবে এপ্রিলের ২৩ তারিখে।
*চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে এবং শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে।
*চূড়ান্ত আবেদনের পর পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ এর ভেতরে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবছরের দু’ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। আর সেগুলো হলো প্রাথমিক আবেদন এবং চূড়ান্ত আবেদন। চূড়ান্ত আবেদনে কারা আবেদন করবে সে প্রশ্ন যদি জেগে থাকে তাহলে বলতে পারি যারা প্রাথমিক আবেদনে মেধাক্রমের মাধ্যমে যোগ্য বলে বিবেচিত হবে কেবল তারাই চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে।
এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করতে আবেদন ফি লাগবে ৫০০ টাকা। যা তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অর্থাৎ বিকাশ, রকেট,নগদের মাধ্যমে অনলাইনে প্রদান করতে পারবে। নিচে প্রাথমিক আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দেয়া হলোঃ-
প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীকে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে হাবিপ্রবিতে। এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের ইউনিটগুলো কমিয়ে গুচ্ছ আকারে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রধান তিনটি ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো এ ইউনিট,বি ইউনিট এবং সি ইউনিট। মূলত মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ ইউনিটে, বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বি ইউনিটে এবং সি ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
আবেদন করার যোগ্যতাঃ-
এ ইউনিটে এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে সর্বমোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে।
বি ইউনিটে বানিজ্য বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে।
সি ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম এসএসসি এবং এইচএসসিতে ৩.৫০ পেতে হবে। সর্বমোট ৮.০০ জিপিএ পেলেই তারা এই ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।
প্রাথমিকে সারাদেশ থেকে প্রতি ইউনিটে আবেদন করতে পারবে প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী। নির্দিষ্ট সময়ে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রাথমিক আবেদন পদ্ধতির বিস্তারিত জানতে পারবেন।
চূড়ান্ত আবেদনঃ-
প্রাথমিকভাবে যে সকল শিক্ষার্থী এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে নির্বাচিত হবে তারাই চূড়ান্তভাবে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় দিকনির্দেশনা প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরীক্ষার আসন বিন্যাস
গুচ্ছ আকারে পরীক্ষা হওয়ার জন্য সারাদেশে ৩১ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। একজন শিক্ষার্থী ৩১ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবে। তবে একজন শিক্ষার্থীকে তার পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করতে পারবে না। পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারিত হবে কয়েকটি বিষয়ের উপর।
আর সেগুলো হলো আবেদনকারীর স্কুল-কলেজ থেকে পছন্দের কেন্দ্রের দূরত্ব, শিক্ষার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত নম্বর, শিক্ষার্থীর পাশের বছর এবং শিক্ষার্থীটি কি ছেলে না মেয়ে সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চারটি বিষয়ে একটি স্কোর প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে এবং কেন্দ্রের পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র নির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
চূড়ান্ত আবেদনের পরে পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যঃ-
পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের মেইন বইগুলো বিশেষ ভাবে পড়তে হবে। কারণ এ বছর মূল বই থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। প্রতিটি ইউনিট ১.৩০ ঘন্টায় মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার নম্বর বন্টন
এ ইউনিটে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ৪০, ইংরেজি ৩৫ এবং আইসিটি ২৫ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বি ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান ২৫ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২৫, বাংলা ১৩, ইংরেজি ১২ ও আইসিটি ১৫ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সি ইউনিটের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়ন ২০, বাংলা ১০ এবং ইংরেজি ১০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর তাদের পছন্দের বিষয় গণিত ২০, আইসিটি ২০ এবং জীববিদ্যা ২০ পরীক্ষা হবে। এ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই বিষয়গুলোকে নির্ধারণ করতে পারেন।
পরবর্তীতে একজন শিক্ষার্থী যখন চূড়ান্তভাবে মনোনীত হবেন তখন তার ফলাফলের ভিত্তিতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুযোগ দেয়া হবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মাবলী অনুসরণ করে ভর্তি হতে হবে।