২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য বাংলাদেশের ২০টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ আকারব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যে সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের মধ্যে অনেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে ইচ্ছুক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হলে যে সকল শর্ত আরোপ করা হয়েছে সে সকল শর্ত পূরণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত আলোচনা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে করা আছে।
এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক আবেদন থেকে শুরু করে চূড়ান্ত আবেদন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পরীক্ষার আসনবিন্যাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য বিস্তারিত ধারণা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে দেখুন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কলেজ হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। বর্তমানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডঃ মিজানুর রহমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নীতি বাক্য “শিক্ষা, শৃঙ্খলা”। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তি পড়ালেখা করেছেন। জিএসটি এর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায় যে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া দুই আকারে সম্পন্ন হবে। একটি হলো প্রাথমিক আবেদন। অন্যটি হলো চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে। আর নির্বাচিত শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ হতে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। নিচে প্রাথমিক আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
প্রাথমিক আবেদন এই তিনটি ইউনিট ধরা হয়েছে। এ, বি এবং সি ইউনিট। এ ইউনিট মানবিক বিভাগের জন্য, বি ইউনিট বাণিজ্য বিভাগের জন্য এবং সি ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের জন্য।
এ ইউনিটে ভর্তির জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৭.০০ জিপিএ থাকলে একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। বি ইউনিটে এসএসসি এবং এইচএসসি তে ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে এবং উভয় মিলে ৭.৫০ জিপিএ থাকলেই একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। সি ইউনিটে আবেদনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি এবং এইচএসসিতে ৩.৫০ জিপিএ থাকলেই হবে। তবে উভয় পরীক্ষায় ৮.০০ জিপিএ অবশ্যই থাকতে হবে।
কোন বছরের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন- যে সকল শিক্ষার্থীরা ২০১৬,২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২০১৯ এবং ২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভর্তির আবেদনের সময় সঠিক তথ্য প্রদানের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে। অনলাইনে ফরম তোলার সময় যে তথ্যগুলো চাওয়া হবে সে তথ্যগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের পরবর্তী পোস্টে পাবেন।
প্রাথমিকে একজন শিক্ষার্থীর মেধা ক্রোমের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে তাকে পরবর্তী ধাপের চূড়ান্ত আবেদনের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ফি প্রদানপূর্বক আবেদন করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় এপ্রিলের ২৪ তারিখ হতে মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ৫০০ টাকা প্রদান এবং সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় যেসকল তথ্য প্রয়োজন হবে সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
চূড়ান্ত পরীক্ষায় ইউনিট ভিত্তিক মান বন্টন এর তথ্যঃ-
এ ইউনিটে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি ওপরে ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বি ইউনিট অর্থাৎ বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা,-ইংরেজি, আইসিটি এর ওপরে ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সি ইউনিটের অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক বিষয় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বাংলা, ইংরেজি এর ওপরে ৬০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ঐচ্ছিক বিষয় গণিত এবং আইসিটি এর উপরে ৪০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ প্রত্যেক ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় নির্ধারিত সময় দেয়া হবে। প্রত্যেকটি ইউনিটের পরীক্ষা এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট এ অনুষ্ঠিত হবে।
আসন বিন্যাস সংক্রান্ত তথ্য
একজন শিক্ষার্থী যখন চূড়ান্ত আবেদন করবে তখন তার সামনে ৩১ টি কেন্দ্র তালিকা আসবে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে ৫ টি কেন্দ্র তালিকা পছন্দ করতে হবে। চারটি নির্ণায়ক এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পছন্দের তালিকার মধ্যে একটি তালিকাকে নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকবে না।
শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট আসনেই পরীক্ষা দিতে হবে। শিক্ষার্থীর স্কুল-কলেজ হতে দূরত্ব, শিক্ষার্থী পাশের বছর, শিক্ষার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসি ফলাফল এবং শিক্ষার্থীদের ছেলে না মেয়ে বিষয়ের উপর একজন শিক্ষার্থীর আসন নির্ধারণ করা হবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ঃ-
প্রত্যেক ইউনিটের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা ৩০ পর্যন্ত। এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ১৯ তারিখে। বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বাণিজ্য জুন মাসের ২৬ তারিখে এবং সি ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুলাই মাসের ৩ তারিখে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যখন পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে নির্বাচিত হবে তখন তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী তাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে। ভর্তির সুযোগ দেয়া হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সে সকল তথ্য যথাযথ পূরণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে ভাইভা পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আমাদের পরবর্তী পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।