জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জিএসটি। জিএসটির নির্দেশনা অনুসারে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গুচ্ছ আকারে পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী একটিমাত্র আবেদনের ভিত্তিতে তার মেধাক্রম এবং ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ ২০২১ সালে কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় ছুটতে হবে না।
আর ফলাফলের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী এ বছর তার যোগ্যতা অনুসারে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্দিষ্ট বিভাগ অনুসারে নির্বাচন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং ভর্তি প্রক্রিয়া জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে লেখা পোস্টটি গুরুত্বসহকারে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবস্থিত। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ২০০ জন।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
জিএসটি এর নির্দেশনা অনুসারে একজন শিক্ষার্থীকে এবছর দুইভাবে আবেদন করতে হবে। একটি হল প্রাথমিক আবেদন এবং অন্যটি হলো চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে এবং শেষ হবে এপ্রিলের ১৫ তারিখে। প্রাথমিক আবেদনের ওপর ভিত্তি করে মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থীদের ২৩ তারিখের ফলাফল প্রদান করা হবে। প্রাথমিক আবেদনের পরে চূড়ান্ত ফলাফলের আবেদন করতে পারবে।
প্রাথমিক আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাঃ-
২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২০১৯ এবং ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই আবেদন করতে পারবে।
প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতা কথা যদি বলতে হয় তাহলে –
এ ইউনিটে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৭.০০ জিপিএ থাকতে হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি তে ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে। বি ইউনিটে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ করে সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। তাহলে একজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা এ লেভেল এবং অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে যদি পাশ করে আসে তাহলে তারাও এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। মেধাক্রম এবং এসএসসি এবং এইচএসসি এর ফলাফলের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে নির্বাচিত হবে। প্রাথমিকে যারা নির্বাচিত হবে তাদের মধ্যে প্রতিটি ইউনিটের সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে চূড়ান্ত আবেদনের সময়।
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে যথাযথ তথ্য প্রদানের পাশাপাশি ৫০০ টাকা ফি প্রদানপূর্বক আবেদন করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে। চূড়ান্ত আবেদন শেষ হলে শিক্ষার্থীরা অনলাইনের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। প্রবেশপত্র জুন মাসের ১ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীরা ডাউনলোড করে নিতে পারবে এবং ১০ তারিখে সেই ডাউনলোড বন্ধ হবে।
চূড়ান্ত আবেদনের পর শিক্ষার্থীরা ইউনিটভিত্তিক নির্দিষ্ট দিনে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা ৩০ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পরীক্ষা দিতে হবে। এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ১৯ তারিখে। বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ২৬ তারিখে এবং সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুলাই মাসের ৩ তারিখে। নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত আবেদনের সময় ৩১ টি পরীক্ষার কেন্দ্র লিস্ট দেওয়া হবে। তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের কে 5 টি পরীক্ষার কেন্দ্র বাছাই করতে হবে। চারটি নির্ণয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে।
শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। একজন শিক্ষার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসি ফলাফল, পাশের বছর, শিক্ষার্থীদের ছেলে না মেয়ে ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার আসন প্রদান করা হবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষায় পরীক্ষার মান বন্টন বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যঃ- এ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের বাংলা ৪০, ইংরেজি ৩৫, আইসিটি ২৫ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।
বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি তে সর্বমোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।
সি ইউনিটের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, জীববিদ্যা ও আই সি টি বিষয়ে সর্বমোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগের অর্থ সি ইউনিট বিজ্ঞান শাখা সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে। তাছাড়া উত্তর প্রদান করলে শুধুমাত্র বায়োলজিক্যাল সাইন্স বিষয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে।
উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে। আপনারা যদি আরও তথ্য পেতে হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এই তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করে জিএসটি এডমিশন টেস্ট এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের শর্ত উল্লেখ সহ দরখাস্ত আহবান করবে। সেই দরখাস্ত অনুসারে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য প্রদান পূর্বক শিক্ষার্থীরাই তখন তা আবেদন করতে পারবে। ইউনিটভিত্তিক মেধাক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।