পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও সার্কুলার ২০২২-২৩ PDF

যে সকল শিক্ষার্থী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করবে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিচের পোস্টটি ভালোমতো পড়ুন। আমাদের ওয়েবসাইটে জিএসটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। এর মধ্যমে আপনারা গুচ্ছ আকারে অনুষ্ঠিত হবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যাবতীয় তথ্য পাবেন।

তাছাড়া যারা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাও তারা এই পোস্টটি। তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টে ভর্তি প্রক্রিয়া, আবেদনের যোগ্যতা, পরীক্ষার মানবন্টন, আসনবিন্যাস, চূড়ান্ত আবেদন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আছে। তাই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩ তোমরা ভালোমত পড়ো আমাদের নিচের পোস্টটি।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে ২০০৮ সালে। বর্তমানে এই শিক্ষা উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডক্টর এম রোস্তম আলি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পড়ালেখা করে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে পাবনায় অবস্থিত। অনেকেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাস্ট বা পাবিপ্রবি নামে চিনে থাকে।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য জিএসটি যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেখানে উল্লেখ করেছে যে একজন শিক্ষার্থী যেকোনো একটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তার মেধাক্রম অনুসারে উল্লেখিত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় যেকোন একটিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে দুই প্রকারের আবেদন করতে হবে।

এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

এটি হলো প্রাথমিক আবেদন এবং অন্যটি হলো চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে এপ্রিল মাসের ১ তারিখে এবং শেষ হবে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে। প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে।প্রাথমিক আবেদনের মাধ্যমে নির্বাচিত তালিকা দেওয়ার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে। নিচে প্রাথমিক আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হল ঃ-

প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন যে সকল শিক্ষার্থী-
২০১৬-১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন এবং যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তার আবেদন করতে পারবেন।

তবে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৮.০০ পেতে হবে।
বাণিজ্য শাখার জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৭.৫০ যেতে হবে এবং মানবিক শাখার জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৭.০০ পেতে হবে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই এসএসসি এবং এইচএসসি তে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ অবশ্যই থাকতে হবে। একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে পারবে।

প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করাবে না। প্রত্যেকেই তাদের এসএসসি এবং এইচএসসি নম্বরের ভিত্তিতে একটি স্কোর পাবে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। সেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তাদেরকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে। তবে আবেদনটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে হবে।

চূড়ান্ত আবেদনের সময় এ, বি এবং সি ইউনিটে সাড়ে চার লক্ষ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। প্রত্যেকের ইউন্নিটের আবেদন ফি ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। যা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা আবেদন করবে। আর যদি না করে তাহলে পরবর্তী মেধাক্রম থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে।

চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে এবং চুড়ান্ত আবেদন শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের আসনবিন্যাস সংক্রান্ত একটি তথ্য দেয়া হবে।

সেই তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে ৩১ টি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা তুলে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সেই তালিকায় ভেতর থেকে পাঁচটি আসন নির্ধারিত করতে হবে। পরবর্তীতে জিএসটি কর্তৃক নির্ধারিত পাঁচটি তার ভেতরে চারটি নির্ণয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র জানিয়ে দেওয়া হবে।

এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর স্কুল বা কলেজের অবস্থান, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাশের বছর, শিক্ষার্থীদের ছেলে না মেয়ে বিষয়গুলোর উপর প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে। নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো হস্তক্ষেপ শিক্ষার্থীরা করতে পারবে না। এক্ষেত্রে জিএসটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে পরিগণিত হবে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতি ইউনিটে ১০০ নম্বরের এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিটের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ১৯ তারিখে। বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ২৬ তারিখে এবং সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুলাই মাসের ৩ তারিখে। এক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখের ভেতরে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে।

মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।

বি ইউনিটে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। সি ইউনিটে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।

প্রতিটি ইউনিটে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করবে জিএসটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। পরবর্তীতে একজন শিক্ষার্থী যখন জিএসটি এর মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার সুযোগ পাবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের তথ্য শর্ত উল্লেখ সহ দরখাস্ত আহবান করবে।

শুধুমাত্র জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এক্ষেত্রে আবেদন করতে পারবে। আর যারা চূড়ান্ত পরীক্ষায় টিকবে তারাই আবেদন করতে পারবে। ইউনিটভিত্তিক মেধাক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

Leave a Comment