পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও সার্কুলার ২০২২-২৩ PDF

প্রতি বছরের মতো পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন করার জন্য জিএসটি একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে যে সকল শিক্ষার্থী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য আবেদন করবে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া যে পোস্টটি আছে সেটি পড়লেই বিস্তারিত ধারনা পাবেন।

আমাদের ওয়েবসাইটে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য খুব সুন্দর ভাবে দেওয়া আছে। আপনারা চাইলেই সেগুলো পড়ে নিতে পারেন এবং আপনাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ ভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিচে পোস্টটি আপনারা পড়ুন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০০ সালে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস এর কারণে ভর্তি প্রক্রিয়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অনেক দেরিতে হচ্ছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ বিবেচনা করে জিএসটি গুচ্ছ আকারে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী একটি মাত্র ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল জিপি এর মাধ্যমে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডঃ মোঃ হারুনুর রশিদ। অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পবিপ্রবি নামে চেনে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় আয়তন ৯০ একর। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পটুয়াখালীতে অবস্থিত।

এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য যারা আবেদন করবে তাদের দুই প্রকার আবেদন করতে হবে। একটি হলো প্রাথমিক আবেদন এবং অন্যটি হলো চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদন যে সকল শিক্ষার্থীর মনোনীত হবে তারাই চূড়ান্ত আবেদনের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে দরখাস্ত প্রদান করতে পারবে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আবেদনের ক্ষেত্রে এইচএসসির পরীক্ষার বিভাগ সংশ্লিষ্ট একটি মাত্র ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। অর্থাৎ যে শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে সে শিক্ষার্থীকে মানবিক বিভাগের ইউনিট অর্থাৎ এ ইউনিটে আবেদন করতে হবে।

প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে সকল শিক্ষার্থী সাধারণ, ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আবেদন করতে পারবে।

এ ইউনিটে আবেদনের ক্ষেত্রে মানবিক শাখা হতে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ ৭.০০ পেলে একজন শিক্ষার্থী আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বি ইউনিটে আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি তে ন্যূনতম চতুর্থ বিষয় সহ ৩.৫০ পাওয়ার পাশাপাশি সর্ব মোট জিপিএ ৭.৫০ পেলেই হবে।

সি ইউনিটের আবেদনের জন্যএকজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি এবং এইচএসসি তে ন্যূনতম ৩.৫০ পাওয়ার পাশাপাশি সর্ব মোট জিপিএ ৮.০০ পেতে হবে।

সকল ইউনিটের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, বিজ্ঞান শাখা সহ ভোকেশনাল আবেদন করতে পারবে। ও লেভেল এ লেভেল এবং ইংলিশ ভার্শন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীরা প্রশ্নপত্র প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে। ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক কোন যদি শিক্ষার্থী থাকে তাহলে চূড়ান্ত আবেদনের সময় তা অবশ্যই আবেদন পত্রে জানাতে হবে।

প্রাথমিক আবেদন শুরু হবেএপ্রিলের ১ তারিখ এবং প্রাথমিক আবেদন শেষ হবে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে। প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে। প্রাথমিক আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থীর এসএসসি, এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে।

প্রতি ইউনিট চূড়ান্ত আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত হবে। এক্ষেত্রেশিক্ষার্থীদের এইচএসসি থেকে ৬০ শতাংশ জিপিএ এবং এসএসসি থেকে ৪০ শতাংশ জিপিএ নিয়ে মেধাক্রম তালিকা প্রস্তুত করা হবে। ২৩ তারিখে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে মে মাসের ২০ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে।

চূড়ান্ত আবেদনের জন্য প্রতি ইউনিটে আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫০০০০ নির্ধারিত সময়ে চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী মেধাক্রম হতে জিএসটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষার্থী দেরকে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য সুযোগ দিয়ে দিবে। প্রতি ইউনিটে আবেদন করার জন্য আবেদন ফি ধার্য করা হয়েছে পাঁচশত টাকা। চূড়ান্ত আবেদনের বিস্তারিত পদ্ধতি আপনারা জিএসটির কমিশনের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।

এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

চূড়ান্ত আবেদনের পর আপনারা জুন মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ১০ তারিখের ভিতরে অনলাইনের মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। চূড়ান্ত আবেদনের পর শিক্ষার্থীদের এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুনের ১৯ তারিখে।

বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুনের ২৬ তারিখে।
সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুলাই ৩ তারিখে। প্রতি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২ টা থেকে ১ঃ৩০ পর্যন্ত। প্রতি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার মানবন্টন ঃ-প্রতি ইউনিটের পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।এ ইউনিটের পরীক্ষাতে বাংলাতে ৪০, ইংরেজিতে ৩৫, এবং আইসিটিতে ২৫ মিলিয়ে মোট ১০০ মার্ক। বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান ২৫ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২৫ বাংলাতে ইংরেজি ১২ আইসিটি ২৫ মিলিয়ে মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিদ্যা ২০ রসায়ন ২০ বাংলাদেশ ১০ ইংরেজি ১০ গণিত ১০ আইসিটি ২০ জীব বিদ্যা ২০ মার্কের মিলে মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিটি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করা হবে।

এটি পরবর্তীতে জিএসটি এডমিশন টেস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেয়া হবে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের শর্তসহ দরখাস্ত আবেদন করবেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। পরবর্তীতে ইউনিটভিত্তিক মেধাক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে।

Leave a Comment