রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও সার্কুলার ২০২৩

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। যে সকল শিক্ষার্থী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য আবেদন করতে চান তারা ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া পোস্টটি পড়ুন।

তাহলে আপনারা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য, ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া, চূড়ান্ত আবেদন, আসন বিন্যাস, পরীক্ষার মানবন্টন, পরীক্ষার তারিখ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্বজিৎ ঘোষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এর আওতাভুক্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আয়তন প্রায় ১৫০ একর।

নতুন শুরু হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করবেন তারা একটি বিষয় জানতে হবে যে,২০২৩ শিক্ষাবর্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী একটি মাত্র আবেদনের মাধ্যমে উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া দুই প্রকারের সম্পন্ন হবে। একটি হলো প্রাথমিক আবেদন এবং অন্যটি হলো চূড়ান্ত আবেদন। প্রাথমিক আবেদন এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে এবং শেষ হবে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে। প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে এইচএসসির পরীক্ষার বিভাগ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন করতে হবে, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানবিক বিভাগে আবেদন করতে হবে এবং বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাণিজ্য বিভাগে আবেদন করতে হবে।

মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন করতে হবে এ ইউনিটে, বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন করতে হবে বি ইউনিটে এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন করতে হবে সি ইউনিটে।

প্রাথমিক আবেদনের নিয়মাবলী এবং যোগ্যতাঃ-
যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৬, ১৭, এবং ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২০১৯ এবং ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ভোকেশনাল এবং উন্নয়ন পরীক্ষা যে সকল শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।

প্রাথমিক আবেদনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে মানবিক বিভাগ হতে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৩.৫০ ও সর্বমোট ৭.০০ পেতে হবে।

বি ইউনিটের অর্থাৎ বাণিজ্য অর্থ বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যএসএসসি এবং এইচএসসি তে চতুর্থ বিষয় সহ ন্যূনতম ৩.৫০ পেতে হবে। তবে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে সর্বমোট ৭.৫০ পেলে একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
সি ইউনিটের অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্যএসএসসি এবং এইচএসসি তে ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএ সহকারে সর্ব মোট জিপিএ ৮.০০ পেলেই একজন শিক্ষার্থীর বিজ্ঞান বিভাগের এস সি ইউনিটে আবেদন করতে পারবে। তবে সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে সম্মান এবং যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

ও লেভেল এ লেভেল এবং ইংলিশ ভার্শন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের প্রশ্নপত্র প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে। ইংরেজি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছে যদি থাকে তাহলে চূড়ান্ত আবেদনের সময় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। প্রাথমিক আবেদনের প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে।

প্রাথমিক আবেদনের সময় এইচএসসি থেকে ৬০ শতাংশ এবং একজন শিক্ষার্থীর মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত হবে। তাদের চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। প্রতি ইউনিটের দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ থেকে এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় যে সকল শিক্ষার্থী প্রাথমিক মনোনীত হবে তাদেরকে খুব তাড়াতাড়ি আবেদন করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী মেধাক্রমঃ হতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনের জন্য সুযোগ প্রদান করা হবে। চূড়ান্ত আবেদনের জন্য আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।

চূড়ান্ত আবেদনের সময় যাবতীয় তথ্যাবলীঃ-
যেগুলো শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে জিএসটির এডমিশন টেস্টের ওয়েবসাইট এ।
আসন সংক্রান্ত তথ্য ঃ-চূড়ান্ত আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো আসবে। তার মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাই করে নিতে হবে। জিএসটির অনুমোদন সরকারের একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের কোন ধরনের সুযোগ থাকবেনা।

পরীক্ষার মানবন্টনঃ-
এ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি মিলিয়ে মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।
বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা,ইংরেজি, আইসিটি মিলিয়ে মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হবে।

সি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক বিষয় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বাংলা, ইংরেজি এবং অন্য বিষয় গণিত, জীব বিদ্যা এর ওপরে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।

ইউনিট ভিত্তিক চূড়ান্ত পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখঃ
এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের ১৯ তারিখে। বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ তারিখে এবং সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জুলাই মাসের ৩ তারিখে।

পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এবং জিপের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য পূরণ সাপেক্ষে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।

Leave a Comment