২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে জিএসটি গুচ্ছ আকারে পরীক্ষা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী একটি আবেদনের মাধ্যমে তার প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এবং জিপিএ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়াটা খুবই জরুরী হয়ে গিয়েছে। তাই জিএসটি শিক্ষার্থীদের দিক বিবেচনা করে দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কারী পরীক্ষা নিবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেই জন্য একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য ভর্তিচ্ছু রয়েছে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া পোস্টটি পড়তে পারেন। এ পোষ্টের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, ভর্তি প্রক্রিয়া, চূড়ান্ত আবেদন, আসন বিন্যাস, পরীক্ষার মানবন্টন, পরীক্ষার তারিখ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন রফিক উল্লাহ খান। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলায় অবস্থিত।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে যারা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে আগ্রহী তারা আমাদের নিচে দেওয়া ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দুইভাবে আবেদন করতে হবে। একটি প্রক্রিয়া হল প্রাথমিক আবেদন এবং অন্যটি চূড়ান্ত আবেদন আবেদন। প্রাথমিকে যে সকল শিক্ষার্থী মনোনীত হবে সে সকল শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতা।
প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর এইচএসসির বিভাগ যেমন (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) সংশ্লিষ্ট একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৯, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সে সকল শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদনের অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণ ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ভোকেশনাল, এ লেভেল এবং অন্যান্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে। প্রাথমিক আবেদনের তিনটি ইউনিট এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো এ ইউনিট, বি ইউনিট, সি ইউনিট। এ ইউনিট মানবিক শিক্ষার্থীদের জন্য, বি ইউনিট বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এবং সি ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য।
আবেদনের জন্য এ ইউনিটের একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩.৫০ জিপিএ সহ মোট ৭.০০ পেলে আবেদন করতে পারবে। বি ইউনিটে আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫৯ পেতে হবে। আর সি ইউনিটে এসএসসি এবং এইচএসসি জিপিএ ৮.০০ থাকলেই একজন শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান শাখা হতে উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রাথমিক আবেদনের ক্ষেত্রে আপনারা জিএসটির এডমিশন টেস্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। সেখানে যে তথ্যগুলো চাওয়া হবে সে তথ্য গুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। অন্যথায় আপনি চূড়ান্ত আবেদনের জন্য মনোনীত হবেন না।
প্রাথমিক আবেদনের সময় আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি জিপিএর ভিত্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য আপনাকে সুযোগ দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে আপনার এইচএসসি জিপিএ থেকে ৬০ শতাংশ এবং এসএসসি জিপিএ থেকে ৪০% নিয়ে মেধাক্রমঃ তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
আপনি যদি প্রাথমিক আবেদনের মাধ্যমে মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারেন তাহলে আপনি চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। চূড়ান্ত আবেদনের আসনসংখ্যা, চূড়ান্ত আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে।
চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ থেকে এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষ হবে মে মাসের ২০ তারিখে। চূড়ান্ত আবেদনের পর আপনারা জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত জিএসটির এডমিশন টেস্ট ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। চূড়ান্ত আবেদনের সময় আপনাদেরকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন ফি ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদনের সময় আপনারা নিজ-নিজ কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করতে পারবেন।
আপনাদের আবেদনের সময় যেসকল আসন কেন্দ্রগুলো আসবে সেখান থেকে কমপক্ষে পাঁচটি আসুন আপনাদেরকে চয়েজ করতে বলা হবে। আপনার পছন্দের তালিকার ভেতর থেকেই জিএসটি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থান, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিবেচনা পূর্বক একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।
নির্ধারিত দিনে আপনাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২ টা থেকে এবং পরীক্ষা শেষ হবে ১ঃ৩০ মিনিটে। প্রতি ইউনিটের পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০।
এ ইউনিটের পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি এর ওপরে ১০০ মার্কের প্রশ্ন হবে।
বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, বাংলা,-ইংরেজি, আইসিটি এর ওপরে ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি, জীব বিদ্যা এর ওপরে ১০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এখানে ক্লিক করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আপনাদের প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আপনাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে জিএসটি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের শর্ত উল্লেখ সহ দরখাস্ত আহবান করবে। ইউনিট ভিত্তিক মেধাক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ভর্তি প্রক্রিয়া গুলো সম্পন্ন করবে।